সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য কম্পিউটারের মধ্যে ডাটাকে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। সেই ডাটা গুলিকে কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটে পাঠানোর জন্য কিছু যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়। যেগুলিকে এক কথায় বলা হয়ে থাকে ইনপুট ডিভাইস। অর্থাৎ যেসব যন্ত্রাংশের সাহায্যে কম্পিউটার তথ্য বা নির্দেশ গ্রহণ করে তাদের ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।

Photos by pexels.com

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, টাচ স্ক্রিন, বারকোড রিডার, লাইট পেন, জয়স্টিক, OMR ইত্যাদি। নিম্নে কতগুলি ইনপুট ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

1) কী-বোর্ড

প্রত্যেক কম্পিউটারের সঙ্গে একটি করে কী-বোর্ড সরাসরি যুক্ত থাকে। এটি কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস। অর্থাৎ কম্পিউটারকে তথ্য এবং নির্দেশ জানাবার এটাই প্রধান যন্ত্র। সাধারণত দুই ধরনের কী-বোর্ড অধিক লক্ষ্য করা যায়।

Photo by Lum3n from pexels.com

PC/XT স্টাইলের কী-বোর্ড – এই ধরনের কী-বোর্ড 85 টি। যেগুলির মধ্যে দশটি ফাংশনাল key থাকে।

PC/AT কী-বোর্ড – এই ধরনের কিবোর্ডে 104 টি key থাকে। যার মধ্যে 12টি ফাংশনাল key থাকে।

আপনারা তো সবাই জানেন কী-বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের key বা বাটন থাকে, কিন্তু একটি কী-বোর্ড কত ধরনের key বা বাটন থাকে তা হয়তো অনেকের কাছেই অজানা। যাইহোক নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

জেনারেল Key

কী-বোর্ডে A থেকে Z পর্যন্ত ইংরেজি বর্ণমালা, 0 থেকে 9 পর্যন্ত সংখ্যা, এবং কমা চিহ্ন, সেমিকোলোন, ফুলস্টপ, জিজ্ঞাসা চিহ্ন, বন্ধনী চিহ্ন ইত্যাদি গুলিকে জেনারেল key বলা হয়।

ফাংশনাল key

কী-বোর্ডের ওপরের সারিতে F1 থেকে শুরু করে F12 পর্যন্ত বারটি বাটনকে ফাংশনাল key বলা হয়।

স্পেশাল key

কিবোর্ডে এমন কিছু স্পেশাল বাটন রয়েছে যেগুলির কাজই স্পেশাল। যেমন Ctrl (কন্ট্রোল), Alt (অল্টার), Del (ডিলিট), Shift (সিফ্ট), Esc (এস্কেপ) ইত্যাদি বাটন গুলিকে স্পেশাল key বলা হয়ে থাকে।

নিউমেরিক key

কিবোর্ডের ডান দিকে সংখ্যার দ্বারা চিহ্নিত বাটন গুলিকে নিউমারিক key প্যাড বলা হয়। হাই স্পিড ডাটা এন্ট্রি করার জন্য এগুলিকে ডান হাতের কাছাকাছি রাখা হয়েছে।

2) মাউস

মাউস কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। মাউস কথাটির সম্পূর্ণ রূপ হল মেকানিক্যালি অপারেটেড ইউজার সিরিয়াল ইঞ্জিন। এটি দেখতে ডিম্বাকার এবং প্রায় ইঁদুরের মতো। তাই এর নাম হয়েছে মাউস। বর্তমান যুগের আধুনিক কম্পিউটারে উইন্ডোজ ভিত্তিক কাজকর্ম করতে এই পয়েন্টিং ডিভাইস ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

প্রত্যেকটি কম্পিউটারের সঙ্গে একটি মাউস যুক্ত থাকে। মানুষের সাহায্যে কাজ করা অনেক সহজ। মাউসকে রবার প্যাড বা কোন কিছুর ওপরেতে রেখে সরালে পয়েন্টারও স্ক্রিনের মধ্যে সরতে থাকে। উইন্ডোজের কোন অবজেক্টকে সিলেক্ট করা অথবা যে কোন কমান্ড দেওয়ার কাজ মাউস নিয়ন্ত্রণ করে করা যায়।

Photo from pexels.com

প্রত্যেকটি মাউসের সামনের দিকে একটি লম্বা তার থাকে, যার মুখের দিকের অংশটিতে একটি কানেক্টর থাকে। এই কানেক্টরটি CPU অর্থাৎ সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের মাউস পোর্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাউসকে সক্রিয় করে তোলে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের মাউস রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল।

মেকানিকেল মাউস

এই ধরনের মাউসে বামদিকে, মাঝে এবং ডান দিকে মোট তিনটি বাটন থাকে। এই ধরনের মাউসের নিচে একটি গর্ত থাকে যার মধ্যে রবারের একটি শক্ত বল থাকে।

অপটিক্যাল মাউস

এই ধরনের মাউসে বাম দিকে ও ডানদিকে মোট দুটি বাটন থাকে। এবং মাঝখানে একটি গোল চাকাযুক্ত স্ক্রেল বাটন থাকে। এই চাকাটি ঘুরিয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনকে উপরে নিচে করা যায়। এই ধরনের মাউসের নিচের দিকে রাবারের বলের পরিবর্তে লাইট অ্যামেটিং ডায়োড অর্থাৎ LED লাগানো থাকে। এই LED থেকে আলোকরশ্মে নির্গত হয়ে স্ক্রীনে কারসরের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।

কর্ডলেস বা রিমোটমাউস

এই ধরনের মাউস গুলিতে কোন তার থাকে না। এই মাউস গুলি ইনফ্রারেড বা রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।

3) স্ক্যানার

এটি একটি বিশেষ ইনপুট ডিভাইস, এর সাহায্যে কোন ছবি, হাতের লেখা, ছাপানো লেখা ইত্যাদি অপটিক্যাল স্ক্যান করে ডিজিটাল ইমেজ তৈরি করা হয়। যে পেপারটি স্ক্যান করতে হবে, স্ক্যানার সেটির ওপর আলোকরশ্মি নিক্ষেপ করে এবং পেপারটির বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিফলিত হওয়া আলোক রশ্মির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল ইমেজ তৈরি হয়। স্ক্যানার মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে ।

হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার – এক্ষেত্রে স্ক্যানারটিকে হাতে ধরে ডকুমেন্টের বিভিন্ন অংশে নিয়ে গিয়ে স্ক্যান করা হয়।

ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার – এই ধরনের স্ক্যানারগুলিতে ওপরেতে কাঁচের প্লেটের নিচে একটি বক্সের মধ্যে স্ক্যানার লাগানো থাকে। ওই কাজটির ওপরে যে কোন পেপার বা অন্য কোন কিছুকে রেখে স্ক্যান করা হয়।

ড্রাম স্ক্যানার – যে স্ক্যানারের মাধ্যমে কোন ইমেজ থেকে যখন উচ্চ রেজুলেশন যুক্ত ফটো তৈরি করার প্রয়োজন হয় তখন ড্রাম স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়।

4) টাচস্ক্রিন

এটি একটি বিশেষ ধরনের ইনপুট ডিভাইস। টাচস্ক্রিন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আলোক সংবেদনশীল স্ক্রিনের সাহায্যে ইনপুট গ্রহণ করে। ব্যবহারকারী স্ক্রিনে আঙুল দ্বারা গ্রাফিক্যাল বা টেক্সট সমন্বিত কিছু menu স্পর্শ করে নির্দেশ দেই বা ইনপুট প্রদান করে। বর্তমানে ব্যাংকের এটিএম পরিষেবায় এবং এয়ারপোর্ট ও রেল স্টেশনে এমনকি বর্তমানে ব্যাপক হারে মোবাইলে টাচ স্ক্রিনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

Photo by Pixabay.com

5) OMR

OMR এর সম্পূর্ণ নাম হলো অপটিক্যাল মার্ক ক্যারেক্টার রিডার। এটি একটি ইনপুট যন্ত্র। এর সাহায্যে কাগজের ওপর বিশেষ মার্ক বা দাগ চিহ্নিত করা যায়। OMR যন্ত্রটির সাহায্যে পেপারটি স্ক্যান করা হয় এবং স্ক্যানিংয়ের সময় পেপারের ওপর লাইট বিম পাঠানো হয়। প্রতিফলিত আলোকরশ্মির কন্ট্রাস্ট এর তারতম্যের উপর ভিত্তি করে মার্কগুলি চিহ্নিত করা হয়।

Photo by modern computer application book

বর্তমানে ব্যাংক, রেলওয়ে, PSC ও বিভিন্ন ধরনের কম্পিটিশন পরীক্ষায় OMR যন্ত্রের সাহায্যেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য একাধিক উত্তর দেওয়া থাকে এবং প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্ট করার জন্য গোলাকার স্থান থাকে। H.B পেন্সিল দ্বারা পরীক্ষার্থীদেরকে সঠিক বৃত্তটিকে ভরাট করতে হয়। উত্তরপত্র সানে করে OMR যন্ত্র জানিয়ে দেয় কতগুলি উত্তর সঠিক হয়েছে।

6) অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার

এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস। এটি আসলে একটি অপটিক্যাল স্ক্যানার, যার সাহায্যে কাগজে লেখা বা ছাপানো তথ্যকে নিখুঁতভাবে স্ক্যান করা যায়। এছাড়া এর সাহায্যে অক্ষর, সংখ্যা, যতি চিহ্ন এবং অন্যান্য চিহ্ন বা সিম্বল সনাক্ত করা যায়।

Photo by Arturo A from pexels.com

যন্ত্রটি অপটিক্যাল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্ক্যান করা টেক্সট ইমেজকে মেশিন এনকোডেড টেক্সতে রূপান্তর করা হয়। এবং এর জন্য ASCII কোড ব্যবহার করা হয়। এর সুবিধা হল যে, যেকোনো পুরনো নথি যেগুলো কম্পিউটারাইজড নয়, সেগুলি অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডারের (OCR) সাহায্যে স্ক্যান করে OCR সফটওয়্যার এর সাহায্যে সহজেই কম্পিউটারাইজ করা যায়।

7) ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টার রিডার (MICR)

এটি এমন একটি ইনপুট যন্ত্র যা ক্যারেক্টার রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ম্যাগনেটিক কালিতে লেখা তথ্য সনাক্ত করতে পারে। এই যন্ত্রটি ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। ব্যাংক ড্রাফট বা ব্যাংক চেক এর সত্যতা নির্ণয়ের জন্য এই ইনপুট যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয়। যেকোনো চেক বা ব্যাংক ড্রাফট MICR এর MICR চেক বা ড্রাফটের ম্যাগনেটিক লেখাগুলি রিডহেড দিয়ে পড়ে এবং একটি বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়।

Photo by modern computer application book

ম্যাগনেটিক কালি তে যেহেতু আয়রনো অক্সাইড থাকে তাই MICR যন্ত্রটি লেখাটির ওপর একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে এবং ম্যাগনেটিক ইঙ্কের লেখা তথ্যগুলি চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় MICR যন্ত্রটির রিডহেড তথ্যগুলিকে সনাক্ত করতে পারে।

Micr যন্ত্র দ্বারা চিহ্নিত ক্যারেক্টার সাধারণ অবস্থাতেও যে কেউ পড়তে পারে। যেহেতু চেক নাম্বার, অ্যাকাউন্ট নাম্বার ইত্যাদি তথ্য বিশেষ ধরনের টাইপ ফেস বা ডিজাইনের একটি ক্যারেক্টার সেট ব্যবহার করে ম্যাগনেটিক কালিতে লেখা থাকে তাই এই ধরনের তথ্য গুলি পরিবর্তন করা খুব জটিল এবং ব্যয় সাপেক্ষ।

8) বারকোড রিডার

আজকাল আপনারা যেকোনো ধরনের পণ্য সামগ্রী কিনলে এগুলির প্যাকেটে বা স্টিকারে অবশ্যই সাদাকালো দাগ টানা একটি বারকোড দেখতে পাবেন, এবং ওই সাদাকালো লাইনের নিচে কতগুলি সংখ্যা লেখা থাকে। আপনারা কি জানেন ওই কোডের মধ্যেই লুকানো থাকে পণ্যটির যাবতীয় তথ্য। যেমন পণ্যটির নাম, তৈরীর তারিখ, কোম্পানির নাম, দাম এবং এক্সপায়ারি ডেট।

Photo by Ivan Samkov from pexels.com

বারকোড গুলি পড়ার জন্য বারকোড রিডার নামক একটি ইনপুট যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন শপিং মল ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কোন সামগ্রীর বিল করার সময় এই যন্ত্রটির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।

9) লাইট পেন (Lite Pen)

এটি একটি পেনের মতো দেখতে আলোক প্রতিক্রিয়াশীল বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এই যন্ত্রটির একটি প্রান্তে একটি আলোক-সাংবেদি কোষ থাকে এবং অপর প্রান্তটি তারের সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যখন পেনটির আলোক সংবেদী প্রান্তটি মনিটরের পর্দায় কোন আইকন বা আইটেমকে স্পর্শ করে তখন ওই আইকন বা আইটেমটি সিলেক্ট হয়। এইভাবে কম্পিউটার ক্রিনের ওপর বিভিন্ন প্রকার স্কেচ করা যায়।

এছাড়া কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন বিভাগে, ফাংশন ডিজাইনিং এ কোন কিছু অঙ্কন এবং এডিটিং এর কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

10) গ্রাফিক ট্যাবলেট (graphic tablet)

এটি একটি ইনপুট ডিভাইস এর সাহায্যে কম্পিউটারের ছবি আঁকা বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়। এটি একটি বর্গাকার সমতল ইলেকট্রনিক প্লাস্টিকের বোর্ড। এই বোর্ডের ওপর সূক্ষ্ম তামার তারের জল থাকে যা অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে।

বোর্ডের ওপরিতলে স্টাইলাস পেনের সাহায্যে কোন কিছু আঁকলে বা প্রেস করলে সেটি কম্পিউটারের স্ক্রিনে ফুটে ওঠে। স্টাইলাস হল একটি পয়েন্টিং device যা গ্রাফিক ট্যাবলেতের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এর সাহায্যে গাড়ি ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইত্যাদি ডিজাইন করা যায়। এছাড়াও আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইনিং এ ডিজাইনিং প্রস্তুত করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।

11) মাইক্রোফোন (microphone)

এটি একটি ইনপুট যন্ত্র। মুখের শব্দ বা অন্য কোন শব্দকে এই যন্ত্রের সাহায্যে রেকর্ডিং করে কম্পিউটারে একটি ফাইল হিসেবে সংরক্ষিত করা হয়। এটি পরবর্তীকালে এডিট করা যায়। ভয়েস ইনপুট, মাল্টিমিডিয়া মেসিন বা ডাটা এন্ট্রি টার্মিনালের ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ইন্টারনেটে চ্যাটিং করার জন্য মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হয়।

12) জয়স্টিক (Joystick)

জয়স্টিক হল কম্পিউটারের আরেকটি ইনপুট ডিভাইস। এটি একটি ক্ষুদ্রদন্ডের মত দেখতে। এটি নির্দিষ্ট তলের ওপর এটিকে বিভিন্ন দিকে ঘোরানো যায়। এই যন্ত্রের সাহায্যে স্ক্রিনের কোন বস্তুর নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কোন বিশেষ কার্যের জন্য জয়স্টিকে একবার একাধিক বোতাম থাকতে পারে। এগুলি প্রধানত কম্পিউটারে বিভিন্ন খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন গুলি ছোড়া, লাফানো ইত্যাদি। তাছাড়া বিমান চালকদের ট্রেনিং এর সময় ফ্লাইট সিমুলেটর সফটওয়্যার চালানোর ক্ষেত্রেও জয়স্টিক ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *