আজকাল যে সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই কোন তথ্য সঞ্চয় করে রাখার প্রয়োজন হয়, সেগুলির প্রত্যেকটিতেই মেমোরির ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা প্রভৃতিতে। মেমোরিতে সাধারণত বাইট, কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট, টেরাবাইট ইত্যাদি এককের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়।
বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মেমোরিকে যে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় তা নিম্ন আলোচনা করা হলো।
💾 মেমোরির প্রকারভেদ (type of memory)
∆) প্রাইমারি মেমোরি
প্রাইমারি মেমোরি হল একপ্রকার অস্থায়ী মেমোরি। যেখানে ইনপুট ডিভাইস থেকে আগত প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও তথ্য জমা হয়।। এই মেমোরিতে তথ্য অত্যন্ত দ্রুত আদান-প্রদান হয়। অর্থাৎ CPU (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) থেকে মেমোরিতে অথবা মেমোরি থেকে CPU তে আদান-প্রদান হয়। এই মেমোরিটি কিছুক্ষণের জন্য ডাটা বা ইনফরমেশন সঞ্চিত রাখে। যতক্ষণ বিদ্যুৎ যোগান থাকে ততক্ষণ এটি সক্রিয় থাকে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলে সব তথ্য প্রাইমারি মেমোরি থেকে মুছে যায়।
প্রাইমারি মেমোরি দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো RAM এবং অপরটি হল ROM.
(1) RAM ( রেনডম এক্সেস মেমোরি )
প্রাইমারি মেমোরির যে অংশ ব্যবহারকারীর প্রদেয় সমস্ত রকম কাজের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে তাকে RAM বলে। সাধারণত বৈদ্যুতিক চার্জের ভিত্তিতে এখানে ডাটা সঞ্চিত থাকে। তাই এটি বিদ্যুতের উপরে নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর লেখা এবং পড়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলেই সমস্ত তথ্য মুছে যায়। অর্থাৎ যখন কম্পিউটারের ব্যবহার চালু থাকে তখনই র্যাম কার্যকর হয়। কাজের পরিপ্রেক্ষিতে এটি দুই প্রকার।
a) স্ট্যাটিক র্যাম (static RAM বা SRAM)
স্ট্যাটিক র্যাম তৈরির প্রধান উপাদান হলো ট্রানজিস্টর। এই র্যামে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ডাটা সংরক্ষিত থাকে। ডায়নামিক র্যাম এর তুলনায় স্ট্যাটিক র্যামে অনেক বেশি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। হলে ডাটা বা তথ্য এক্সেস করতে এই র্যাম খুবই কম সময় নেয়। তাছাড়া এই র্যামকে DRAM এর মত নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রিফ্রেস করবার দরকার হয় না। এই ধরনের মেমোরির দাম বেশি হওয়ায় এর ব্যবহার কম।
b) ডায়নামিক র্যাম (dynamic Ram বা DRAM)
এই ধরনের র্যাম মূলত ক্যাপাসিটর প্রযুক্তিতে তৈরি। ক্যাপাসিটর এর চার্জের উপর ভিত্তি করে এই ধরনের মেমোরির তথ্য সঞ্চয় করে। ক্যাপাসিটর গুলিতে চার্জ লিক আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রতি দুই থেকে দশ মিলিসেকেন্ড অন্তর। তাই DRAM কে রিফ্রেস করতে হয় নতুবা ডাটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়নামিক র্যাম এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা স্ট্যাটিক র্যাম এর তুলনায় অন্তত চার গুণ বেশি। এই ধরনের মেমোরিতে কম বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয় হয়। তাই বেশিরভাগ কম্পিউটারে ডায়নামিক র্যাম ব্যবহার করা হয়।
2) রিড ওনলি মেমোরি বা রম (read only memory বা ROM)
এই মেমোরিটি সার্কিটের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এখানে সঞ্চিত সকল নির্দেশ ইলেকট্রিক চার্জের বদলে লজিক গেট ব্যবহার করে। তাই এই মেমোরিতে সঞ্চিত তথ্য বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হলেও মুছে যায় না। তাই একে নন ভোলাটাইট মেমোরি বলে।
কম্পিউটারের কাজ করার জন্য যে তথ্যগুলি অত্যন্ত জরুরী তাই ROM এ সঞ্চিত থাকে। এই নির্দেশগুলি হার্ডওয়ার সার্কিট এর মাধ্যমে সঞ্চিত রাখা হয় এবং কোন পরিবর্তন করা হয় না। এই নির্দেশগুলিকে ফার্মওয়্যার বলা হয়। কম্পিউটারের সুইচ অন করলে ROM কিছু কাজ ক থাকে, যেগুলি সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হল –
প্রথম- RAM টেস্ট করে অর্থাৎ ROM প্রথমে যাচাই করে RAM ঠিকমতো কাজ করছে কিনা।
দ্বিতীয় – কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ গুলি যেমন- হার্ডডিক্স, সিডি ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ , ইত্যাদি ঠিকমত যুক্ত এবং সক্রিয় আছে কিনা পরীক্ষা করে।
তৃতীয়- কম্পিউটারকে কাজ করার উপযোগী করে তোলার জন্য অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডডিস্ক থেকে মেইন মেমোরি বুট RAM এ স্থাপন করা। অর্থাৎ কম্পিউটার শুরু হওয়ার জন্য বুটিং করা।
বিভিন্ন প্রকারের ROM রয়েছে, নিচে এর প্রকার গুলি উল্লেখ করা হল।
a) PROM
এর সম্পূর্ণ নাম হলো programmable read only memory. এই ROM এ প্রস্তুতকারক সংস্থা কম্পিউটার পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী প্রোগ্রাম লিখে রাখে। এই মেমোরিতে শুধুমাত্র একবার প্রোগ্রাম লেখা যায়। এই প্রোগ্রাম কোন ভাবেই পরিবর্তন করা যায় না।
b) EPROM
এর ফুল ফর্ম হল erasable programmable read only memory. এই ROM এ লেখা তথ্য বা program মুছে পুনরায় তথ্য বা program লেখা যায়। এই ROM এ তথ্য মোছার জন্য আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যাবহার হয়।
c) EEPROM
EEPROM ফুল ফর্ম হল electrically erasable programmable read only memory. এই ROM এ সঞ্চিত তথ্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকাকালীনও বহুদিন পর্যন্ত সঞ্চিত থাকতে পারে। EEPROM এ প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট কোন অংশ মুছে সেটির সংশোধন করা যায়।
d) UVPROM
UVPROM এর সম্পূর্ণ নাম হলো ultraviolet programmable read only memory. এই ROM এ আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির সাহায্যে যেকোনো ধরনের তথ্য এখানে মোছা যায়, এবং প্রয়োজনে নতুন তথ্যকে সংযোগ করা যায়।
∆) সেকেন্ডারি মেমোরি (secondary memory)
এই মেমোরিটি বিপুল পরিমাণে তথ্য সঞ্চয় রাখতে পারে। সেকেন্ডারি মেমোরির আরেকটি সুবিধা হল বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও তথ্য বা ইনফরমেশনগুলিকে অবিকৃতভাবে ধরে রাখা যায়। এবং এখান থেকে খুব সহজেই প্রাইমারি মেমোরিতে ডাটা বা তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সেকেন্ডারি মেমোরি ক দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল হলো ম্যাগনেটিক মিডিয়া এবং অপরটি হল অপটিক্যাল মিডিয়া।
1) ম্যাগনেটিক মিডিয়া
এই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইসে পাতলা প্লাস্টিক বা ধাতব চাকতি বা ডিস ব্যবহৃত হয়। এই চাকরিগুলির উভয় পৃষ্ঠে ম্যাগনেটিক অক্সাইড এর প্রলেপ দেওয়া থাকে। এগুলির সাহায্যে বিপুল পরিমাণ তথ্য সঞ্চয় করা যায়। এই ধরনের মিডিয়াগুলি চৌম্বক পদার্থের সাহায্যে তৈরি হওয়ায় এগুলিকে ম্যাগনেটিক মিডিয়া বলা হয়। যেমন- হার্ড ডিস্ক ও ফ্লপি ডিস্ক ইত্যাদি।
a) হার্ড ডিস্ক (hard disk)
কম্পিউটারের বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থায়ীভাবে সঞ্চয় করতে হার্ডডিস্ক ব্যবহৃত হয়। ডিস্ক গুলি পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি, যাদের প্লাটার বা ডিস্ক বলে। প্লাটারগুলি ক্রমাগত ঘুরতে থাকে। ডিস্কের দুদিকেই ফেরিক অক্সাইড এর প্রলেপ দ্বারা আবৃত থাকে। ঘূর্ণায়মান প্ল্যাটারগুলির উভয় তলে ম্যাগনেটিক হেডের মাধ্যমে ম্যাগনেটিক স্পট তৈরির সাহায্যে তথ্য রেকর্ড করে। মাধ্যমে ।
তথ্য রেকর্ড করার জন্য প্ল্যাটার গুলিতে কিছু বৃত্তাকার ট্রাক থাকে, এই ট্রাকগুলি আবার অদৃশ্য কিছু ভাগে বিভক্ত থাকে, এগুলিকে সেক্টর বলে। হার্ডডিস্কের প্ল্যাটার বা ডিস্কগুলি নিজেদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে একটি সরু চোঙের মতো বস্তু বা স্পিন্ডলের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এবং স্পিন্ডলটিকে মোটরের সাহায্যে ঘোরানো হয়। এর ফলে স্পিন্ডলের সঙ্গে যুক্ত দেশ গুলি উচ্চগতিতে ঘুরতে থাকে। হার্ডডিস্ক এরজ্জ প্রতিটি প্লেটে তথ্য লেখা বা পড়ার জন্য ‘রিড রাইড হেড’ ব্যবহৃত হয়।
হার্ডডিস্ক এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বর্তমানে হার্ডডিস্ক গুলি 500 জিবি( গিগাবাইট) থেকে 1000 টিবি ( টেরাবাইট) ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। হার্ডডিস্কটি ধুলোবালি ও আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি ধাতব জ্যাকেটের ভেতরে রেখে কম্পিউটারের ভেতর রাখা হয়। সেই জন্য একে স্থায়ী বা ফিক্সড ডিস্ক বলা হয়।
b) ফ্লপি ডিস্ক (floppy disk)
ফ্লপি ডিস্ক মাইলার (mylar) নামক পাতলা ও নমনীয় প্লাস্টিক তারের উপর ফেরিক অক্সাইড এর প্রলেপ যুক্ত একটি গোল প্লাস্টিকের পাত। এই প্লাস্টিকের ডিস্কটি একটি বর্গাকার প্লাস্টিক জ্যাকেট এর মধ্যে সুরক্ষিত থাকে। ফলে ডিস্কটি ধুলোবালি থেকে রক্ষা পায়। প্লাস্টিকের গোলপাতটি যাতে ড্রাইভের হেড স্পর্শ করতে পারে তার জন্য জ্যাকেটের একটি বিশেষ অংশ কাটা থাকে, এবং ধাতব পাত দ্বারা আবৃত থাকে।
ডাটা বা তথ্য পড়ার সময় ধাতব পাতটি সরে যায়। এবং প্লাস্টিকের পাতটির হেড স্পর্শ করে। বর্তমানে 3.5 ইঞ্চি এবং 1.44 মেগাবাইট ক্যাপাসিটির ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ফ্লপির ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।
2) অপটিক্যাল মিডিয়া
বিশেষ ধরনের রশ্মি অর্থাৎ লেজার রশ্মির সাহায্যে যেসব ক্ষেত্রে সরাসরি তথ্য লেখা বা পড়া হয় তাকে অপটিক্যাল মিডিয়া বলে। যেমন- কম্প্যাক্ট ডিস (CD), DVD, Blue রে ডিস্ক ইত্যাদি।
a) কমপ্যাক্ট ডিস্ক (CD)
এটি একটি মাঝারি ক্ষমতা সম্পন্ন সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস। এটি এক ধরনের অপটিক্যাল ডিস্ক। এটি দেখতে গোলাকার চাকরির মতো। এই ডিস্কে একটি স্পাইরাল ট্র্যাক থাকে, যেখানে লেজার বিমের সাহায্যে তথ্য লেখা যায় এবং ট্র্যাক থেকে প্রয়োজন মতো তথ্য পড়া যায়।
তথ্য লেখার জন্য স্পাইরাল ট্র্যাকের ওপ র লেজার বিম বা রশ্মির সাহায্যে উঁচু (pit) ও গর্ত (hole) সৃষ্টি করা হয়। Pit এবং hole থেকে প্রতিফলিত আলোর ওপর ভিত্তি করে তথ্য পাওয়া যায়। সিডির তথ্য ধারণ ক্ষমতা 700MB থেকে 720MB পর্যন্ত। এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সিডিতে অনেক দিন পর্যন্ত তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। বর্তমানে আমরা তিন ধরনের CD দেখতে পাই।
i) CD-ROM
এই ধরনের CD তে আগে থেকেই ডাটা লেখা থাকে। এই ধরনের CD শুধু পড়া যায় কিন্তু এতে লেখা যায় না। যেমন গানের অডিও সি.ডি, সিনেমার ভিডিও সি.ডি বা বিভিন্ন সফটওয়্যার সি.ডি।
ii) CD-R
এই প্রকার CD তে আমরা লিখতে পারি। কিন্তু একবার লেখা হয়ে গেলে সেটিকে মোছা যায় না, শুধুমাত্র পড়া যায়। এই ধরনের সিডি গুলির গায়ে CD-R কথাটি লেখা থাকে। এই CD গুলিকে non-rewritable CD বলা হয়।
iii) CD-RW
এই ধরনের CD তে আমরা বারবার তথ্য লিখতে ও মুছতে পারি। অর্থাৎ এই ধরনের সিডিতে তথ্য লেখা এবং পড়া দুই-ই সম্ভব। তাই এই CD গুলিকে re-writable CD বলা হয়।
b) ডিজিটাল ভার্সাটাইল ডিস্ক (DVD)
DVD বা digital versatile disk দেখতে অনেকটা CD এর মত কিন্তু এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এর সঞ্চয় ক্ষমতা 4.7 GB থেকে 17 GB পর্যন্ত হয়ে থাকে। DVD অ্যাকসেপ্ট করার জন্য ডিভিডি প্লেয়ার প্রয়োজন। সিডির মতো ডিভিডিতে ডিস্কের উপর লেজার রশ্মির প্রতিফলন ঘটিয়ে ডাটা লেখা ও পড়া যায়। ডিভিডি তে সব ধরনের ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। যেমন টেক্সট, অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন ইত্যাদি।
ডিভিডি সাধারণত তিন ধরনের (type of memory) হয়ে থাকে।
i) DVD-ROM – এতে শুধুমাত্র আগে থেকে রেকর্ডিং করা তথ্য দেখা যায়।
ii) DVD-R – এটিতে একবার রেকর্ডিং করে দিলে দ্বিতীয়বার আর মোছা যায় না।
iii) DVD-RW – এই ধরনের ডিভিডি তে রেকর্ডিং মোছাও যায় আবার পুনরায় রেকর্ডিং করা যায়।
c) ব্লু রে ডিস্ক (Blue Ray Disk)
এটি একটি অপটিক্যাল ডিস্ক যার তথ্য ধারণ ক্ষমতা ডিভিডির তুলনায় বেশি। এটির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় কিন্তু Blue Ray Disk চালানোর জন্য BD-Drive এর প্রয়োজন হয়। ডিস্কটি সাধারণত দুটি স্তরে বিভক্ত থাকে। এবং প্রতিটি স্তরে সঞ্চয় ক্ষমতা 25GB এর মত।
এর মূল ব্যবহার হচ্ছে হাই-ডেফিনেশন ভিডিও, প্লেস্টেশন, ও ভিডিও গেম এবং মাল্টিমিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য। Blue Ray Disk ব্যবহার করে এর মধ্যে সঞ্চিত তথ্য পড়া যায়। Blue Ray Disk নামটি এসেছে এই ডিসকে ব্যবহৃত নীল-বেগুনি (ব্লু ভায়োলেট লেজার ) লেজারের নামানুসারে। ডিস্কের তথ্য পাঠ করতে এই লেজার ব্যবহৃত হয়।
∆) ক্যাশ মেমরি (Cache Memory)
এটি প্রাইমারি বা সেকেন্ডারী মেমোরির অন্তর্ভুক্ত নয়। বর্তমানে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের (cpu ) কার্যক্ষমতা খুবই দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়। RAM এর পক্ষে এই দ্রুতগতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই এই গতির অসামঞ্জস্য কমানোর জন্য CPU ও RAM এর মধ্যবর্তী স্থানে ক্যাশ (Cache) মেমোরি বসানো হয়। এতে প্রসেসিং এর গতি বৃদ্ধি পায়।
প্রসেসিং এর সময় ডাটা এবং নির্দেশ যেগুলি ক্রমাগত CPU দ্বারা ব্যবহৃত হয়, ক্যাশ মেমোরিতে সেগুলি অস্থায়ীভাবে জমা থাকে। প্রসেসিং এর সময় সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট প্রয়োজনীয় ডাটা বা নির্দেশ কোনো মেমোরি থেকে খোঁজে। যদি প্রয়োজনীয় ডাটা ক্যাশ মেমোরিতে উপস্থিত থাকে তবে সেই ডাটা সরাসরি CPU সংগ্রহ করে। একে ক্যাশ হিট (cache hit) বলে। আর যদি প্রয়োজনীয় ডাটা ক্যাশ মেমোরিতে উপস্থিত না থাকে, তাহলে সেগুলিকে মেইন মেমোরি থেকে সংগ্রহ করতে হয়। একে ক্যাশ মিস (cache Miss) বলে।
∆) ফ্ল্যাশ মেমোরি (Flash Memory)
ফ্ল্যাশ মেমোরি হলো একটি বিশেষ ধরনের ডাটা স্টোরেজ ডিভাইস। কম্পিউটার সিস্টেমে USB (universal serial bus) পোর্টের মাধ্যমে এই মেমোরি গুলিকে যুক্ত করা হয়। কম্পিউটারে ”পেন ড্রাইভ” হল একটি ফ্ল্যাশ মেমোরি। কম্পিউটারে ছাড়াও শেষ মেমরি ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, আইপড, iphone ও ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার ইত্যাদিতে।
FAQ
মেমোরি কি?
মেমারি হচ্ছে এক ধরনের স্টোরেজ। যেখানেতে যেকোনো ধরনের তথ্যগুলিকে সঞ্চয় করে রাখা যায়। এবং প্রয়োজনে সেগুলিকে ব্যবহার করা যায়।
মেমোরি প্রথম কবে তৈরি হয়েছিল?
১৯৪০ এর দশকে মেমোরি প্রথম তৈরি হয়েছিল। তবে এটি ভালোভাবে ইম্প্রুভড হয়েছিল ১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে।