এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক ও পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক, এবং বাস ও স্টার টোপোলজির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সেগুলি বিস্তারিত জানতে পারবেন।

Client server network & peer to peer network পার্থক্য | star topology & bus topology পার্থক্য
Image by Gerd Altmann from Pixabay

👉 ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক vs পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক

ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্কপিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক
1. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক কম্পিউটার সার্ভার ও অন্য সমস্ত কম্পিউটারগুলি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে।1. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একদিকে সার্ভার ও অন্যদিকে ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে।
2. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সার্ভার কম্পিউটারগুলি শক্তিশালী হওয়ার প্রয়োজন। ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলি মধ্যমানের হলেওচলে।2. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কম্পিউটারই যেহেতু ক্লায়েন্ট ও সার্ভার হিসাবে কাজ করে তাই সমস্ত কম্পিউটারই একই মানের হয়।
3. ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কে সার্ভার অচলহলে সমস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাই বিকল হয়েপড়ে কারণ সার্ভারই সমস্ত নেটওয়ার্কেরপরিচালনা করে।3. পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার অচল হলেও অন্যান্য কম্পিউটারগুলি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতেপারে, ফলে নেটওয়ার্কটি সচলই থাকে।
4. এই নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলিসার্ভার-এর অনুমতি ব্যতিরেকে ডাটা শেয়ারকরতে পারে না ফলে ডাটার নিরাপত্তা এইপ্রযুক্তিতে অনেক বেশি।4. এই নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলির ডাটারক্ষেত্রে সেরকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না, ফলে ডাটারনিরাপত্তা এই প্রযুক্তিতে তেমন নেই।

👉 বাস ও স্টার টোপোলজির মধ্যে পার্থক্য (Distinction between Bus And Star Topology)

বাস টোপোলজিস্টার টোপোলজি
১) বাস টপোলজিতে সাধারণ বাসের মাধ্যমে প্রতিটি নোড যুক্ত থাকে।১) স্টার টপোলজিতে নোড গুলি হাবের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে যুক্ত থাকে।
২) বাস টপোলজিতে সাধারণত পাকানো অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নোডগুলিকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়।২) স্টার টপোলজিতে মেশিনগুলিকে যুক্ত করার জন্য সাধারণ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার হয়।
৩) বাস টপোলজির বিশেষ কোন আকার নাই। তবে সাধারণ বাসের দুই প্রান্ত উন্মুক্ত থাকে যেখানে টারমিনেটর যুক্ত থাকে।৩) স্টার টপলেজি চাকার স্পোক বা তারার মতো দেখতে হয়।
৪) বাস টপোলজির বিস্তৃতি বা আকার ও আয়তন হলো ক্ষুদ্রাকার। ৪) স্টার টপোলজি মাঝারি আকারের হয়। কারণ বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে খরচ বেশি হয় তাই একটি বিল্ডিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৫) বাস টপোলজিতে মডেল হিসেবে পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবহার করা হয়।৫) স্টার টোপোলজিতে ক্লাইন্ট সার্ভার মডেল ব্যবহার হয়।
৬) বাস টপোলজিতে কোন কেন্দ্রীয় সার্ভার বা মেশিন নেই।৬) স্টার টোপোলজিতে কেন্দ্রীয় মেশিন বা সার্ভার রয়েছে।
৭) বাস টপোলজি তে ব্রডকাস্টিং এর মাধ্যমে তথ্য প্রেরিত হয়। যেখানে প্রেরিত মেসেজ নেটওয়ার্কের সমস্ত নোডে যায়। যার জন্য মেসেজ সেই নোডটি ছাড়া অন্যরা বাতিল করে।৭) স্টার টোপোলজিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য প্রেরিত হয়। যেখানে কোন নোডের প্রেরিত মেসেজ হাবের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নোডে যায়।
৮) বাস টপোলজিতে পেরেক ও গ্রাহক নোড দুটি মেসেজ আদান-প্রদানে নিয়োজিত। এবং একটি নোড খারাপ হলে অন্য নোডগুলির কিছু যায় আসে না।৮) তার টোপোলজিতে প্রেরক এবং গ্রাহক নোড দুটি ছাড়া শুধুমাত্র হাব মেসেজ আদান-প্রদানে নিয়োজিত থাকে। এবং কোন নোড খারাপ হলে অন্য নোড গুলির সমস্যা না হলেও, হাব খারাপ হলে সমস্ত নেটওয়ার্কটিই অকেজ হয়ে পড়ে।
৯) বাস টোপোলজিতে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা স্টার টপোলজির তুলনায় বেশি।৯) স্টার টপোলজিতে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাস টপোলজি তুলনায় তুলনামূলক কম।
১০) বাস টপোলজিতে রিপিটার বা অ্যামপ্লিফায়ার এর প্রয়োজনীয়তা হয় যদি বেশি দূরত্বের নেটওয়ার্ক হয়।১০) বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে স্টার নেটওয়ার্ক গঠন ও ব্যবহার অসুবিধা জনক হওয়ায় সাধারণত রিপিটার বা এমপ্লিফায়ার এর প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া এখানে হাবই রিপিটারের কাজ করে।
১১) বাস নেটওয়ার্ক-এ সংগঠনের খরচ তুলনামূলকভাবে স্টার টোপলজির তুলনায় কম।১১) স্টটার পোলজিতে সংগঠনের খরচা বাস টপোলজির তুলনায় যথেষ্ট বেশি।
১২) বাস টপোলজিতে তথ্য প্রেরণের গতি মোটামুটি। ১২) স্টার টপোলজিতে তথ্য প্রেরণের গতি যথেষ্ট বেশি।
১৩) বাস টপোলজিতে ত্রুটি নির্ধারণ করা তুলনামূলক কঠিন কাজ।১৩) স্টার পোলজিতে যেহেতু হাব অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মেশিন থাকে তাই ত্রুটি নির্ধারণ করা তুলনামূলক সহজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *