এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক ও পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক, এবং বাস ও স্টার টোপোলজির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সেগুলি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
👉 ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক vs পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক
ক্লায়েন্ট/সার্ভার নেটওয়ার্ক | পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক |
---|---|
1. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক কম্পিউটার সার্ভার ও অন্য সমস্ত কম্পিউটারগুলি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে। | 1. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একদিকে সার্ভার ও অন্যদিকে ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে। |
2. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সার্ভার কম্পিউটারগুলি শক্তিশালী হওয়ার প্রয়োজন। ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলি মধ্যমানের হলেওচলে। | 2. এই নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেক কম্পিউটারই যেহেতু ক্লায়েন্ট ও সার্ভার হিসাবে কাজ করে তাই সমস্ত কম্পিউটারই একই মানের হয়। |
3. ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্কে সার্ভার অচলহলে সমস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাই বিকল হয়েপড়ে কারণ সার্ভারই সমস্ত নেটওয়ার্কেরপরিচালনা করে। | 3. পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কে কোনো কম্পিউটার অচল হলেও অন্যান্য কম্পিউটারগুলি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতেপারে, ফলে নেটওয়ার্কটি সচলই থাকে। |
4. এই নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলিসার্ভার-এর অনুমতি ব্যতিরেকে ডাটা শেয়ারকরতে পারে না ফলে ডাটার নিরাপত্তা এইপ্রযুক্তিতে অনেক বেশি। | 4. এই নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলির ডাটারক্ষেত্রে সেরকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না, ফলে ডাটারনিরাপত্তা এই প্রযুক্তিতে তেমন নেই। |
👉 বাস ও স্টার টোপোলজির মধ্যে পার্থক্য (Distinction between Bus And Star Topology)
বাস টোপোলজি | স্টার টোপোলজি |
---|---|
১) বাস টপোলজিতে সাধারণ বাসের মাধ্যমে প্রতিটি নোড যুক্ত থাকে। | ১) স্টার টপোলজিতে নোড গুলি হাবের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে যুক্ত থাকে। |
২) বাস টপোলজিতে সাধারণত পাকানো অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নোডগুলিকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। | ২) স্টার টপোলজিতে মেশিনগুলিকে যুক্ত করার জন্য সাধারণ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার হয়। |
৩) বাস টপোলজির বিশেষ কোন আকার নাই। তবে সাধারণ বাসের দুই প্রান্ত উন্মুক্ত থাকে যেখানে টারমিনেটর যুক্ত থাকে। | ৩) স্টার টপলেজি চাকার স্পোক বা তারার মতো দেখতে হয়। |
৪) বাস টপোলজির বিস্তৃতি বা আকার ও আয়তন হলো ক্ষুদ্রাকার। | ৪) স্টার টপোলজি মাঝারি আকারের হয়। কারণ বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে খরচ বেশি হয় তাই একটি বিল্ডিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। |
৫) বাস টপোলজিতে মডেল হিসেবে পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবহার করা হয়। | ৫) স্টার টোপোলজিতে ক্লাইন্ট সার্ভার মডেল ব্যবহার হয়। |
৬) বাস টপোলজিতে কোন কেন্দ্রীয় সার্ভার বা মেশিন নেই। | ৬) স্টার টোপোলজিতে কেন্দ্রীয় মেশিন বা সার্ভার রয়েছে। |
৭) বাস টপোলজি তে ব্রডকাস্টিং এর মাধ্যমে তথ্য প্রেরিত হয়। যেখানে প্রেরিত মেসেজ নেটওয়ার্কের সমস্ত নোডে যায়। যার জন্য মেসেজ সেই নোডটি ছাড়া অন্যরা বাতিল করে। | ৭) স্টার টোপোলজিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য প্রেরিত হয়। যেখানে কোন নোডের প্রেরিত মেসেজ হাবের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নোডে যায়। |
৮) বাস টপোলজিতে পেরেক ও গ্রাহক নোড দুটি মেসেজ আদান-প্রদানে নিয়োজিত। এবং একটি নোড খারাপ হলে অন্য নোডগুলির কিছু যায় আসে না। | ৮) তার টোপোলজিতে প্রেরক এবং গ্রাহক নোড দুটি ছাড়া শুধুমাত্র হাব মেসেজ আদান-প্রদানে নিয়োজিত থাকে। এবং কোন নোড খারাপ হলে অন্য নোড গুলির সমস্যা না হলেও, হাব খারাপ হলে সমস্ত নেটওয়ার্কটিই অকেজ হয়ে পড়ে। |
৯) বাস টোপোলজিতে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা স্টার টপোলজির তুলনায় বেশি। | ৯) স্টার টপোলজিতে তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাস টপোলজি তুলনায় তুলনামূলক কম। |
১০) বাস টপোলজিতে রিপিটার বা অ্যামপ্লিফায়ার এর প্রয়োজনীয়তা হয় যদি বেশি দূরত্বের নেটওয়ার্ক হয়। | ১০) বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে স্টার নেটওয়ার্ক গঠন ও ব্যবহার অসুবিধা জনক হওয়ায় সাধারণত রিপিটার বা এমপ্লিফায়ার এর প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া এখানে হাবই রিপিটারের কাজ করে। |
১১) বাস নেটওয়ার্ক-এ সংগঠনের খরচ তুলনামূলকভাবে স্টার টোপলজির তুলনায় কম। | ১১) স্টটার পোলজিতে সংগঠনের খরচা বাস টপোলজির তুলনায় যথেষ্ট বেশি। |
১২) বাস টপোলজিতে তথ্য প্রেরণের গতি মোটামুটি। | ১২) স্টার টপোলজিতে তথ্য প্রেরণের গতি যথেষ্ট বেশি। |
১৩) বাস টপোলজিতে ত্রুটি নির্ধারণ করা তুলনামূলক কঠিন কাজ। | ১৩) স্টার পোলজিতে যেহেতু হাব অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মেশিন থাকে তাই ত্রুটি নির্ধারণ করা তুলনামূলক সহজ। |