ডাটা বা তথ্যের যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের টার্মিনোলজির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি Data Communication Terminologie সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

Data Communication Terminologie
Image by Gerd Altmann from Pixabay

১. ডাটা যোগাযোগের পথ/প্রণালী বা মাধ্যম (Data Channel) :

একটি স্থান থেকে অন্য একটি স্থানে ডাটা বা তথ্য যে মাধ্যমে মধ্য দিয়ে যায় তাকে ডাটা মাধ্যম বা ডাটা চ্যানেল বলে। প্রেরকের কাছ থেকে ডাটা উক্ত মাধ্যমে মধ্য দিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌছায়।

সুতরাং উৎস ও গন্তব্যবস্থানের মধ্যে ভৌত (Physical) পথ (Path) বা প্রণালী (Channel) বর্তমান, ডাটা যোগাযোগের প্রণালী বা পথ কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত-

(a) স্থানান্তরযোগ্য গৌণ সঞ্চয় মাধ্যম (Transferable Secondary Storage Media)

(b) তার বা কেবল মাধ্যম (Wired Media) বা সীমাবদ্ধ মাধ্যম (Bounded Guided Media)

(c) তারহীন মাধ্যম (Wireless Media) বা সীমাবদ্ধ নয় এমন মাধ্যম (Unbounded Unguided Media)

২. চ্যানেল ক্যাপাসিটি (Channel Capacity) :

একটি চ্যানেলের ক্যাপাসিটি বা ক্ষমতা বোঝায় যে একটি চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা কতটা তথ্য প্রতি চ্যানেল ব্যবহারে (per channel usage) পেতে পারি। অর্থাৎ চ্যানেল ক্যাপাসিটি বলতে একটি চ্যানেলের তথ্য পরিবহনের ক্ষমতাকে বোঝায়।

অথবা একটি চ্যানেলের সর্বোচ্চ বিট হার প্রেরণ করার ক্ষমতাকে বলে চ্যানেল ক্যাপাসিটি। এটি পরিমাপ করা হয় বিট/সেকেন্ড।

৩. বড (Baud) :

ডাটা যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সংকেত প্রতি সেকেন্ডে কতবার তার মান (ভোল্টেজ) অথবা দশা (State) পরিবর্তন করে তা বড (baud) এককে পরিমাপ করা হয়।

সুতরাং বড হার হল সিগন্যালিং গতি (Signalling Speed) নির্ণায়ক পরিমাপ (অর্থাৎ সেকেন্ডে দশার পরিবর্তন)। মোটামুটি বড হার হয় ৩০০-৯৬০০ বড। উচ্চ বড হারের অর্থ দ্রুত ডাটা প্রেরণ।

৪. Bits per second (bps) :

নেটওয়ার্কে অবস্থিত দুটি কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা (টেক্সট, অডিও, ভিডিও) যে হারে আদানপ্রদান (Transmission) বা স্থানান্তর (Transfer) হয় তাকে ডাটা যোগাযোগের হার বা ডাটা স্থানান্তর (প্রেরণ) হার বলে। এই হার bps (bits per second) এককে পরিমাপ করা হয়।

ডাটা বিনিময়ের গতি (Transmission Speed) বেশি হলে বড়া এককে, যথা—Kbps (Kilo bits per second) বা Mbps (Mega bits per second) মাপা হয়।

৫. ব্যান্ডউইড (Bandwidth) :

ব্যান্ডউইড হল একটি তথ্য প্রেরণ মাধ্যমে (Transmission Medium) সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কম্পাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য। নির্দিষ্ট একটি যোগাযোগ মাধ্যম কতটা তথ্য (টেক্সট, অডিও, ভিডিও) একবারে চলাচল করতে দিতে পারে। সেটই তার ব্যান্ডউইড—এর পরিমান।

অর্থাৎ ব্যান্ডউইড হল মাধ্যম দিয়ে কতকগুলো কম্পাঙ্কের সংকেত যাতায়াত করতে পারে। মাধ্যম দিয়ে প্রেরণযোগ্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কম্পাঙ্কের সাংখ্যমানের বিয়োগফলই ব্যান্ডউইডের পরিমান।

অ্যানালগ ডাটার ক্ষেত্রে এর একক কিলোহার্জ (KHz) বা মেগাহার্জ (MHz)। কিন্তু ডিজিটাল ডাটার ক্ষেত্রে এককে Kbps, Mbps, Gbps এককে মাপা হয়।

ব্যান্ডউইড বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। ব্যাকবোনের ব্যান্ডউইড সবচেয়ে বেশি। কারণ প্রায় সমস্ত ডাটাই এই পথে চলাচল করে। টেলিফোন বর্তনীর ব্যান্ডউইড কম। আবার মাইক্রোওয়েভ চ্যানেলের ব্যান্ডউইড খুবই বেশি। যে মাধ্যমে ব্যান্ডউইড বেশি, সেটির ডাটা প্রেরণ হারও বেশি।

ব্রডব্যান্ড (Broad Band) লাইনের ব্যান্ডউইড ২৫৬ Kbps বা তার বেশি এবং এতে একটি তারের মধ্যে দিয়ে একাধিক সংকেত পাঠানো যায়। আবার লাইনের মধ্য দিয়ে একটি মাত্র সংকেত পাঠানো যায় বেসব্যান্ডের (Base Band) ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *